হজের সময় কমিয়ে সেবার মান বাড়িয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এবছর থেকে উদ্যোগটি পালিত হবে। ধর্ম মন্ত্রণালয়সূত্র এ তথ্য জানা গেছে।
শতভাগ হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন হচ্ছে ঢাকায়। সম্পন্ন ও প্যাকেজে হজের সময়কাল ৪২ দিন থেকে কমিয়ে ৩০ দিনে কমিয়ে আনা হচ্ছে। সৌদি আরবে উন্নতমানের খাবার ও আবাসনের ব্যবস্থাসহ হজযাত্রীদের সেবার মান বাড়ানোরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া সরকারি কোটায় হজযাত্রীর সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে ১০ হাজার।
জানা গেছে, ২০২০ সালে সরকারি কোটার হজযাত্রীর সংখ্যা ৭ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১৭ হাজার করা হয়েছে। সরকারি হজযাত্রীর কোটা পূরণ করতে তুলনামূলক কমমূল্যে সহনীয় প্যাকেজ ঘোষণার কথা চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। আরও ১০ হাজার কোটা বাড়ানোর বিষয়ে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশেই ৭০-৮০ শতাংশ হজযাত্রী সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করেন। ধর্ম মন্ত্রণালয়ও এ আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছে। তবে এজন্য, মন্ত্রণালয়ের সক্ষমতা বাড়াতে হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
গত বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে হজে যান ২ লাখ ২৭ হাজার ১৫২ জন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ছিল ৬ হাজার ৯১৬ জন, যা ৫ শতাংশেরও কম। যদিও সরকারি ব্যবস্থাপনায় কোটা রাখা হয়েছিল ১০ হাজার ১৯৮ জন, যা ছিল ৮ শতাংশের মতো।
স্বল্পমূল্যে হজ প্যাকেজ ঘোষণার পাশাপাশি প্যাকেজের সময়কালও কমানোর চেষ্টা চলছে। এখন গড়ে ৪২ দিন সৌদি আরবে থাকতে হয় হাজিদের। এটি কমিয়ে ৩০ দিন করা হচ্ছে।
এবারও এজেন্সি প্রতি হজযাত্রীর সর্বনিম্ন সংখ্যা ১০০ এবং সর্বোচ্চ সংখ্যা ৩০০ বহাল রাখা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দর ব্যবহারকারী হজযাত্রী ছাড়া শতভাগ হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন সৌদি আরবের পরিবর্তে ঢাকায় সম্পন্ন করা হবে। মদিনা থেকে হজ ফ্লাইটের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। থাকা-খাওয়াসহ সৌদি আরবে বাংলাদেশি হাজিদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাড়িভাড়া এবং হাজিদের মক্কা-মদিনায় থাকার সময় ২৫-৩০ দিনের মধ্যে আনতে পারলে হজের প্যাকেজ মূল্য অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩১ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র হজ।