আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আব্দুল খালেক মণ্ডল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে রোকনুজ্জামান মামলার শুরু থেকেই পলাতক। মুক্তিযুদ্ধের সময় খালেক মণ্ডল ছিলেন সাতক্ষীরায় রাজকার বাহিনীর সংগঠক। আর রোকনুজ্জামান ছিলেন ওই বাহিনীর সদস্য।
মুক্তিযুদ্ধের সময় সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় যেসব যুদ্ধাপরাধ ঘটিয়েছেন, তা উঠে এসেছে এ মামলার বিচারে। দুই আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মোট ৬টি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছিল প্রসিকিউশন। তার সবগুলোই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে রায়ে জানিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাঁচ ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা ও বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যার অভিযোগে সাতক্ষীরা সদর আসনের জামায়াতের সাবেক এমপি আব্দুল খালেক মণ্ডলসহ নয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের ২ জুলাই মামলা দায়ের হয়। মামলা করেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিমুলবাড়িয়া গ্রামের শহীদ রুস্তম আলী গাজীর ছেলে নজরুল ইসলাম গাজী। পরে মামলাটি আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।
২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি চারজনের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন ট্রাইব্যুনালের তদন্তকারী সংস্থা। পরে ৮ মার্চ অন্য তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। তাদের বিরুদ্ধ্ব ৩৩ জনকে সাক্ষী করা হয়েছিল যাদের মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য শুনেছে ট্রাইব্যুনাল।