নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে টাইগার যুবারা

0
141

নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে জায়গা করে নিলো টাইগার যুবারা। এর আগে আইসিসির বৈশ্বিক আসরের ফাইনালে খেলার স্বাদ পায়নি বাংলাদেশ। এবার যুবা দলের হাত ধরে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলার স্বাদ পেতে যাচ্ছে টাইগার ক্রিকেট।

ফাইনালে প্রতিপক্ষ শক্তিশালী ভারত। যারা প্রথম সেমি-ফাইনালে পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে হারিয়ে নিশ্চিত করে ফাইনাল।

বৃহস্পতিবার পচফস্ট্রমে টস জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক সিদ্ধান্ত নেন আগে বোলিং করার। আকবর আলীর এমন সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত সফলতা এনে দিয়েছে দলকে।

আগের রাতে মুশলধারে বৃষ্টি হওয়ায় দীর্ঘক্ষণ পিচ ঢাকা ছিল কাভারে, ভেজা ছিল আউটফিল্ড। এই সুবিধাটা ঠিকঠাকই নিয়েছেন শরিফুল-শামিমরা।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মন্থর শুরু করেও বাঁচতে পারেননি কিউই ওপেনার রাইস মারিউ (১)। শামিম হোসেনের বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই।

এরপর শুরু হয় টাইগার যুবাদের বোলিং তোপ। পেরে উঠতে পারছিল না কিউই যুবারা। রান যেন সোনার হরিণ। ১১ ওভার চার বলে ২ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের রান আসে মাত্র ৩১।
দলীয় ৩১ রানে ওলি হোয়াইটকে ফিরিয়ে কিউই শিবিরে আঘাত হানেন রকিবুল হাসান।

২৫ ওভার চার বলে কিউই যুবারা হারিয়ে বসে টপ-অর্ডার। দলীয় রান তখন মাত্র ৭৪।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে মন্থর গতির ব্যাটিংয়ে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে কিউইরা। নিকোলাস লিডস্টোন এবং ব্যাকহাম হুইলারের জুটি থেকে আসে ৬৭ রান। অর্ধশতক থেকে মাত্র ৬ রান দূরে থাকতে
শরিফুল ইসলামের বলে ফিরে যান নিকোলাস। নিকোলাস ফিরলেও অর্ধশতক তুলে নেন হুইলার। সকালের ভেজা উইকেটে যখন সূর্যের আলো পড়তে শুরু করে তখনই বেকহামের ব্যাটে রান আসতে থাকে দ্রুত।

বোঝার বাকি ছিল না, দিনটা যে বাংলাদেশের হতে যাচ্ছে তার ইঙ্গিত তো দিয়েই গেলেন বেকহাম। কিউই ইনিংসের সর্বোচ্চ অপরাজিত ৭৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে। বেকহামের ব্যাটে ভর করে নির্ধারিত পঞ্চাশ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ২১১ রান তোলে নিউজিল্যান্ড।

বাংলাদেশের পক্ষে শরিফুল ইসলাম নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। এছাড়া সমান ২টি করে উইকেট নেন শামিম ও মুরাদ, ১ উইকেট নেন রকিবুল হাসান।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে দুর্দান্ত সূচনা এনে দিতে ব্যর্থ হয়েছেন দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ও তানজিদ হাসান। ইনিংসের ৫ ওভার দুই বলের সময় দলীয় ২৩ রানের মাথায় ৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন তানজিদ।

দ্বিতীয় উইকেট জুটিটাও লম্বা হয়নি বেশি। পারভেজ আর মাহমুদুল হাসানের জুটি ভাঙে আর ১০ রান যোগ করে। পারভেজ ফেরেন ১৪ রান করে হ্যাঙ্ককের বলে ক্যাচ দিয়ে।

তৃতীয় উইকেট জুটি থেকে আসে ৬৮ রান। মাহমুদুল আর তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাটে ম্যাচে ফিরে বাংলাদেশ। যদিও অর্ধশতক থেকে দশ রান দূরে থাকতে তৌহিদ (৪০) ফেরেন স্ট্যাম্পিং হয়ে।
এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি বাংলাদেশকে। মাহমুদুল হাসান ৭৭ বলে অর্ধশতক তুলে ছুঁটেন শতকের রান-ওয়েতে।

এই যাত্রায় সফল মাহমুদুল হাসান। কিউইদের বিপক্ষে দুর্দান্ত শতক হাঁকিয়েছেন ১২৬ বলে। শতকের মাইলফলক ছুঁয়েই তবে মাহমুদুল ফেরেন সাজঘরে।

শাহাদাত হোসেনকে নিয়ে শেষটা করে আসেন ৫ রান করা শামিম হোসেন। শাহাদাত ৪০ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন ফাইনালের টিকিট নিয়ে।

LEAVE A REPLY