ফের অশান্ত হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। গতকাল বুধবার ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের তিন পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিকেল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। এতে অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের বিবদমান পক্ষ তিনটি হলো ‘সিক্সটি নাইন’, ‘কনকর্ড’ ও ‘বিজয়’। এদের মধ্যে বিজয় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসানের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। পাশাপাশি সিক্সটি নাইন ও কনকর্ড চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী।
বিজয়ের নেতৃত্বে আছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াছ। আর সিক্সটি নাইনের নেতৃত্বে আছেন সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন ওরফে টিপু এবং কনকর্ডের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক সহসভাপতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক।
জানা গেছে, আলাওল হলের ২৩৮ নম্বর কক্ষে বিজয়ের কর্মী মো. আবদুল্লাহ ও কনকর্ডের কর্মী আরমান হোসেন বসবাস করেন। এ দুজনের মধ্যে কয়েক দিন ধরে ঝগড়া হচ্ছিল। পরে আবদুল্লাহ বিজয়ের আরেক কর্মী মো. আবিরকে নিয়ে গত সোমবার আরমানকে মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে। অন্যদিকে আরমান সিক্সটি নাইনের নেতা-কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার রাতে আবিরকে মারধর করেন। এর থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত।
এ ঘটনার রেশ ধরে বুধবার বিকেলে সিক্সটি নাইনের এক কর্মীকে মারধর করেন বিজয়ের নেতা-কর্মীরা। ঘটনা জানাজানি হলে সন্ধ্যায় আবারও সংঘর্ষে জড়ায় সিক্সটি নাইন ও বিজয়। রামদা, লোহার রড, কাচের বোতল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে অবস্থান নেন বিজয়ের নেতা-কর্মীরা। পাশাপাশি শাহজালাল হলের সামনে অবস্থান নেয় সিক্সটি নাইন। এ সময় উভয়ই একে অপরকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ এসে উভয়কে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পাশাপাশি চারজনকে আটক করা হয়। এ ছাড়া ইট পাটকেলে আঘাতে ও পুলিশের ধাওয়ায় তিন উপপক্ষের পাঁচ কর্মী আহত হন।
এ বিষয়ে প্রক্টর এস এম মনিরুল হাসান বলেন, বারবার শান্ত থাকতে বলা হলেও এসব উপপক্ষ বারবার সংঘর্ষে জড়াচ্ছে। তাঁদের আর ছাড় দেওয়া হবে না। আর আটককৃতদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।