ভোলার লালমোহনে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে।এমনিতেই অনুপ্রবেশকারীদের উৎপাতে অতীষ্ট ত্যাগী নেতা কর্মীরা, তার উপর ক্যাসিনো কান্ডে স্থানীয় সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের নাম আসার পর তারা আরো অস্বস্তিতে পড়েন।
বর্তমানে লালমোহন উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন আহমদের নামে দুর্নীতির মামলা করেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এ কে এম নজরুল ইসলাম, বিপরীতে অধ্যক্ষ নজরুল ইসলামের নামে মামলা দায়ের করেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান।
এমনি পরিস্থিতিতে আরেক আওয়ামীলীগ নেতা ও লালমোহন পৌর চেয়ারম্যান এমদাদুল ইসলাম তুহিনের নামে দুর্নীতির মামলা দায়ের করেন পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম বাদল।
এ ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে অনেক নেতাই মুখ খুলতে চাননি।পৌর চেয়ারম্যান এমদাদুল ইসলাম তুহিন বলেন, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে উদ্দেশ্যমুলক ভাবে। নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক নেতা বলেন, অনুপ্রবেশকারীরাই আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরীন কোন্দল সৃষ্টির জন্য দায়ী। তাদের সাথে যোগ হয়েছে দুর্নীতিবাজ নেতারা। কর্মীদের ভাষ্য, ভালো মুখগুলো হাইব্রীডদের উৎপাতে এলাকায় আসতে পারেন না বলে দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসীরা লালমোহনকে অপকর্মের অভয়ারন্যে পরিনত করেছে। এ ব্যাপারে তারা কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। অনুপ্রবেশকারীদের বেশির ভাগই যুবলীগের পদ দখল করায় স্থানীয় যুবলীগের বিরুদ্ধেই অভিযোগের পাল্লা ভারী বলে জানান তারা।
এব্যাপারে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে লালমোহন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও স্থানীয় সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।