পঞ্চাশটি বছর অপেক্ষার সিঁড়ি ভেঙ্গে ভেঙ্গে
যুথিকার চোখে মুখে অবসন্নতার প্রলেপ এঁকে
কখন ফাগুনের হাওয়া উড়ে গেছে
বোঝেনি কোন শালিক
হায়রে অবসন্নতা এ কেমন অপেক্ষা?
সেদিন রাত নিঝুম হলে চুপি চুপি এসে
সজল বলেছিল, যুথিকা আমি চললাম –
আমার মায়ের শৃংখল ভাঙ্গতে।
জানালার শিক বিষন্নতায় কেঁপে উঠলো
দূরে কোন এক অজানা পাখি ডানা ঝাপটায়
তারপর —————-
অপেক্ষার বাঁধ যুদ্ধে যুদ্ধে ক্ষত বিক্ষত হলো
হানাদারের বুক বিদীর্ণ হল লাল-সবুজ পতাকায়।
ঘরে ফেরার পালা হলো শুরু
সবাই এলো ফিরে কামাল, রশীদ, আজিজ
যারা যারা ওর সাথী ছিল সবাই।
চোখে-মুখে মাকে মুক্ত করার আনন্দ
পায়ের স্পর্শে ঘাসের বুকে শিহরণ তুলে,
ওরা গাইলো বিজয়ের গান।
সে গান বাতাসে ঢেউ তুলে,
যুথিকার এলোচুলে স্বপ্ন ভাঙ্গার কথা বললো।
যুঁথিকা সেই থেকে——
অপেক্ষার নদী বেয়ে বেয়ে
আজও দাঁড়িয়ে আছে কোন এক বসন্ত রাতের অপেক্ষায়।
কবিঃ
রেশমা আখতার (ডলি)
সাংগঠনিক সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ