নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে নতুন করে আইন প্রণয়নের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বুধবার সকালে ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন-ক্র্যাবের বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারি। এই অল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের কোনো সুযোগ নেই।’
সংলাপে গিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, সরকার যদি মনে করে এখন আইন করা সম্ভব নয়, তাহলে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করে করতে পারেন। পরবর্তী সময়ে সেটি আইনে পরিণত করা যাবে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মহামান্য রাষ্ট্রপতি সংলাপ করছেন। তারা ইসি গঠনে আইন প্রণয়ণের যে দাবি জানিয়েছেন, আমিও তার সাথে একমত। কিন্তু আমি বলব, এখন নতুন করে আর আইন করা সম্ভব নয়। তাছাড়া সংসদকে পাশ কাটিয়ে নতুন করে অধ্যাদেশ জারিও সম্ভব নয়।’
দুর্নীতিতে দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিশেষ শর্তে অস্থায়ীভাবে মুক্ত থাকা অবস্থায় বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার ‘আইনি সুযোগ নেই’ বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মতামত পাঠিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে ক্র্যাবের অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে যেতে তার পরিবারের পক্ষ থেকে যে আবেদন করা হয়েছিল, তা ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। তাকে আবার বিদেশে নিয়ে যেতে হলে নতুন করে আবেদন করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, অপরাধের তথ্য এখন অনেক সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানার আগেই দিচ্ছেন সাংবাদিকরা। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব সবার। সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে যে সুসম্পর্ক, তা খুবই গভীর হয়েছে। আমাদের দেশে যত টকশো হয়, এত টকশো অন্য দেশের গণমাধ্যমে হয় না। বাক-স্বাধীনতা নাই তা বলা যাবে না। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাও হচ্ছে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম ও ক্র্যাবের সভাপতি মিজান মালিক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।