দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ২২৩টি আসনে জয়লাভের মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন।স্বতন্ত্র ৬২টি ও জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে জয় পেয়েছে। রোববার (৭ জানুয়ারি) বেসরকারি ফলাফলে এ তথ্য পাওয়া যায়।
নওগাঁ-২ আসন বাদে ২৯৯টি সংসদীয় আসনে লড়াই করছেন ১ হাজার ৯৭০ প্রার্থী। ইসিতে নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে এই নির্বাচনে ২৮টি রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১ হাজার ৫৩৪ জন প্রার্থী। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে ছিলেন ৪৩৫। প্রার্থী মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ ও ফলাফল জটিলতার কারণে ময়মনসিংহ ৩ ফলাফল ঘোষণা স্থগিত রয়েছে।
২০১৮ সালের সর্বশেষ নির্বাচনে ২৫৮টি আসনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। এর আগে ২০১৪ সালে ২৩৪ এবং ২০০৮ সালে ২৩০ আসনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে দলটি। এবারের মতো আগের তিনটি নির্বাচনেও জাতীয় পার্টি (জাপা), ১৪ দলসহ অন্যদের সঙ্গে জোট-মহাজোট করে নির্বাচনে অংশ নেয় আওয়ামী লীগ।
এ পর্যন্ত ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২৯৮টি আসনের বেসরকারি ফলাফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২২৩টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। ক্ষমতাসীনদের পর সবচেয়ে বেশি জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা, ৬১টি আসনে। তাঁদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের নেতা। সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি জয় পেয়েছে ১১টি আসনে। আর অন্যান্য দল জিতেছে একটি আসনে। এর মধ্যে এর মধ্যে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল–জাসদ ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি।
সংসদের প্রধান বিরোধী জাতীয় পার্টি এত কম আসনে জয়ী হওয়ায় বিরোধী দল কে হবে সে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।অনেক নাটকীয়তা, দেনদরবারের পর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে ২৬টি আসনে ছাড় পেয়েছিল জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (জাপা)। সব মিলে এবার ২৬৫টি আসনে দলটির প্রার্থী ছিল। শেষ পর্যন্ত ছাড় পাওয়া ২৬ আসনের ১১টিতে জিততে পেরেছেন জাপার প্রার্থীরা। সমঝোতার বাইরে কোনো আসনে দলের প্রার্থী জিততে পারেননি।