আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটায় বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠান হবে। এর আগে আজ বুধবার সকালে সংসদ সদস্যদের শপথ পড়াবেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। গতকাল বিজয়ী সংসদ সদস্যদের মধ্যে ২৯৮ জনের গেজেট প্রকাশের বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ঐতিহ্যগতভাবে শপথ অনুষ্ঠানটা বঙ্গভবনে হয়ে থাকে। এ বছরও বঙ্গভবনেই হবে। প্রস্তুতির মধ্যে কী কী বিষয় আছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব জানান, যেখানে শপথ হয়, সেখানকার একটা প্রস্তুতি রয়েছে। ইনভাইটেশনের একটি তালিকা করতে হয়, সেই তালিকা করছি। ইনভাইটেশন কার্ড করতে হয়, সেটি আমরা করছি। বঙ্গভবনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। এটার জন্য কিছু কাগজপত্র তৈরি করতে হয়, সেটা করছি। নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানের জন্য ১৩০০ থেকে ১৪০০ জনকে দাওয়াত দেওয়া হচ্ছে। প্রধান বিচারপতি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনারবৃন্দ, সরকারের সচিব, তিন বাহিনী প্রধান, রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, বিদেশি মিশন প্রধান, বিশিষ্ট নাগরিক, সিনিয়র সাংবাদিকসহ উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ অতিথির জন্য আমন্ত্রণপত্র তৈরি ও বিতরণ শুরু করেছে।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্রগুলো বলছে, ৪৫ সদস্যের মন্ত্রিসভার মধ্যে অন্তত ১৫ জন বাদ পড়তে পারেন। বয়স, নানা বিতর্ক ও অদক্ষতার দায়ে এসব মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী বাদ যেতে পারেন। এর মধ্যে টানা তিন মেয়াদে মন্ত্রিসভায় আছেন, এমন নেতাও বাদ পড়তে পারেন। এর বাইরে মন্ত্রিসভার তিনজন সদস্য নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন এবং তিনজন দলের মনোনয়নই পাননি।
এবার যে তিনজন প্রতিমন্ত্রী পরাজিত হয়েছেন, তাঁরা হলেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য ও বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। এর আগে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন থেকে বাদ পড়েন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এবং সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।স্বাভাবিকভাবেই এদের স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন নতুন কেউ এবং রদবদল হতে পারে কিছু মন্ত্রণালয়য়।